সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ সরকার প্রায় ১৫ লাখ রেশন কার্ড বাতিল করেছে। এই সিদ্ধান্তে অনেক গরীব মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কেন সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিল? আসুন সহজ ভাষায় বিস্তারিত জানি।
কেন বাতিল করা হলো রেশন কার্ড?
সরকারি উদ্দেশ্য ছিল রেশন পরিষেবায় স্বচ্ছতা আনা এবং জালিয়াতি কমানো। অনেক রেশন কার্ড ছিল জাল বা নকল। এছাড়া এমন কার্ডও ছিল যেগুলো চার মাস ধরে ব্যবহার হয়নি বা যার মালিক মৃত। তাই খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পকে আরও উন্নত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়ার ভূমিকা
ই-কেওয়াইসি (EKYC) হলো একটি আধার ভিত্তিক যাচাই প্রক্রিয়া, যা বায়োমেট্রিক তথ্য দিয়ে কার্ডধারীদের সঠিকতা নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দরিদ্র মানুষরাই রেশন সুবিধা পাবে এবং দুর্নীতি কমবে।
কাদের বাতিল করা হয়েছে রেশন কার্ড?
- যাদের নাম কার্ডে দু’বার বা একাধিকবার ছিল।
- যারা দীর্ঘদিন রেশন কেন্দ্রে যাননি।
- যাদের নাম জাল বা নকল ছিল।
- যাদের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
সরকার জানিয়েছে, মোট ১৫ লাখের মতো কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
নতুন সুবিধাভোগীদের জন্য পরিকল্পনা
সরকার এই বাতিলের পাশাপাশি প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তিদের নাম তালিকায় যুক্ত করার কাজ করছে। এখনও ৮৩ লাখের বেশি ই-কেওয়াইসি বিচারাধীন রয়েছে, যার মধ্যে ৩-৪ লাখ নাম জাল হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে স্নেহের পরশ প্রকল্প ২০২৫: আবেদন শুরু, প্রতিমাসে ১০০০ টাকা সহায়তা পাবেন
ই-কেওয়াইসি করার শেষ তারিখ ও করণীয়
সরকার জানিয়েছে, ই-কেওয়াইসি করার শেষ তারিখ ৩১ মে ২০২৫। এই তারিখের মধ্যে যারা ই-কেওয়াইসি করবেন, তারা খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় থাকবেন। যারা নাম বাদ পড়েছে, তাদের জন্য সরকার কী পদক্ষেপ নেবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
উপসংহার
মধ্যপ্রদেশের রেশন কার্ড বাতিলের এই পদক্ষেপ খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পকে আরো স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত করবে। তবে যাদের কার্ড বাতিল হয়েছে, তাদের জন্য এই সময়কালে পরিষ্কার নির্দেশনা দরকার। আশা করা যায় সরকার শিগগিরই এ নিয়ে বিস্তারিত ঘোষণা দেবে। যদি আপনার কার্ড বাতিল হয়ে থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা খুব জরুরি।